ঘূর্ণিঝড়ে কী করবেন? জরুরি কর্তব্য জেনে রাখুন

ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় সম্পর্কে চাই জনসচেতনতা

পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশ সহ বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘূর্ণিঝড় প্রবণ। এই ঝড়ের মরশুম প্রধানত দুটো। বর্ষার আগে এপ্রিল থেকে মে মাস। এবং বর্ষার পর, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। প্রতিবছরই বেশ কয়েকটা ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় দেশগুলোতে আঘাত হানে। বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় এখানকার অধিবাসীদের ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার।

বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঝড়গুলো হলো নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড় [Tropical cyclone]। এরকম একটা ঘূর্ণিঝড় কোথায়, কখন, কতোটা শক্তি নিয়ে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে তার ১০০ শতাংশ নিখুঁত পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। এধরণের ঝড় হঠাৎ করে দিক পাল্টাতে পারে বা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এই ঝড়গুলোতে ক্ষয়ক্ষতিও কম হয় না। এই কারণে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি

যে কোনো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা দেখা যায়। প্রবল হাওয়ায় ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। গাছ উপড়ে পড়ে। বিদ্যুৎ সরবরাহ, টেলিসংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। হাওয়ায় উড়ে আসা বস্তুতে মানুষ ও পশুপাখির ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ে সমুদ্র ফুলেফেঁপে ওঠে। সৃষ্টি হয় উপকূলীয় বন্যা। তাছাড়া প্রায়ই ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হয়। এটা বন্যা ও ভূমিধ্বসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ঘূর্ণিঝড়ে শুধু যে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হয় তাই নয়, ঝড়-প্রভাবিত এলাকায় খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, পানীয় জল ও চিকিৎসা পরিষেবার ঘাটতি দেখা দেয়। সাম্প্রতিক অতীতে সিডর, আয়লা, বুলবুল বা আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছে সে কথা মানুষ বহু দিন মনে রাখবে। ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা না থাকলে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা বেশি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় জরুরি কর্তব্য

সমুদ্রে কোনো ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হলেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের তা মোকাবিলার জন্য তৈরি হওয়া উচিত। ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় জরুরি কাজগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এক নম্বর, ঝড় আসার আগে প্রস্তুতি নেওয়া। দু নম্বর, ঘূর্ণিঝড়ের সময় সতর্ক থাকা। এবং তিন নম্বর, ঝড় বয়ে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি কমানো।

ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় প্রথম কাজ হলো সময় থাকতে প্রস্তুতি নেওয়া

📌 আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভবনা থাকলে আপনাকে রেডিও, টিভি ও সোসাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রাখতে হবে।

📌 যে সময় আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা, সেই সময়ের একটা পরিকল্পনা আপনাকে ছকে রাখতে হবে।

📌 আপনার বাড়িটা ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সহ্য করার উপযুক্ত কিনা তা আগেভাগেই দেখে নিন। যদি বাড়ির কোথাও কমজোর অংশ থাকে তা মেরামত করুন। বাড়ির জানালা কাচের হলে কোনো মজবুত আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে দিন।

📌 বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় আলগা জিনিসপত্র, যেমন, ফুলের টব, বোর্ড, চেয়ার, বেঞ্চ, ইত্যাদি থাকলে সেগুলো ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ঘরের ভেতরে এনে রাখুন। সাইকেল, বাইক বা গাড়ি ঢাকা জায়গায় রাখুন। নৌকা থাকলে তা নদী থেকে তুলে এনে সুরক্ষিত জায়গায় শক্ত করে বেঁধে রাখুন।

📌 ঘূর্ণিঝড়ে আপনার বাড়ি সুরক্ষিত নাও থাকতে পারে, এমন সম্ভবনা থাকলে আপনাকে কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় হলো আগেভাগেই জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়া। প্রথমেই আপনাকে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণরক্ষার একটা জরুরি কিটব্যাগ গুছিয়ে নিতে হবে। এতে থাকবে—

  • ব্যাটারি চালিত রেডিও ও টর্চ,
  • অতিরিক্ত ব্যাটারি,
  • শুকনো খাবার (চিঁড়ে/ মুড়ি/ ছাতু),
  • চিনি,
  • নুন,
  • বাচ্চা থাকলে বেবিফুড,
  • বেশ খানিকটা পানীয় জল,
  • কিছু থালাবাসন,
  • ফিটকিরি বা অন্য কোনো জলশোধক ট্যাবলেট,
  • লাইটার বা ম্যাচবক্স,
  • মোমবাতি,
  • প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র,
  • ফার্স্ট এইডের সরঞ্জাম (তুলো, ব্যান্ডেজ, ডেটল, ইত্যাদি)।

এছাড়া অন্য ব্যাগে আপনাকে গুছিয়ে রাখতে হবে ঋতু অনুযায়ী জামাকাপড়, বেডিং, বই, খেলনা (বাচ্চা থাকলে) এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট (যেগুলো নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় তৈরি করা কঠিন)। এই ব্যাগগুলোকে হতে হবে জলনিরোধক। আপনার আরো করণীয় মোবাইল ফোনগুলো ভালোভাবে চার্জ দিয়ে সঙ্গে রাখা।

📌 ঘূর্ণিঝড়ের আগে বাড়ি ছাড়তে হলে আপনার করণীয় হলো বাড়ির জিনিসপত্র সুরক্ষিত জায়গায় রেখে যাওয়া। বিশেষ করে দামি জিনিসগুলো রাখার ব্যাপারে আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। খাবার জিনিস, ওষুধ, টাকা, বই, দলিলদস্তাবেজ ইত্যাদি জলনিরোধক প্লাস্টিক ডাব্বায় ঢুকিয়ে পলিথিনে মুড়ে মাটিতে পুঁতে রাখতে পারেন। এছাড়া আপনার আরেকটা অবশ্য করণীয় কাজ হলো বেশ কিছুটা পানীয় জল বিভিন্ন পাত্রে ঢাকা দিয়ে বাড়িতে রেখে যাওয়া।

📌 গৃহপালিত বা পোষ্য প্রাণীদের ব্যাপারে আপনার করণীয় হলো ওদেরকে উঁচু, সুরক্ষিত জায়গায় ছেড়ে যাওয়া ও যথেষ্ট খাবারদাবার দিয়ে যাওয়া। এতে ওরা ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিজেদের মতো করে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারবে।

📌 বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলে আপনাকে আলাদা ব্যবস্থা নিতে হবে, যদি আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় হলো টিউবওয়েলের মাথা খুলে সুরক্ষিত জায়গায় রাখা এবং মুখটা পলিথিন দিয়ে মুড়ে দেওয়া। যাতে বন্যা হলে নোংরা জল বা লবণাক্ত জল তাতে ঢুকে না যায়।

📌 আপনার পরিবারের সদস্যদের, ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় কর্তব্য বুঝিয়ে দিন। প্রতিবেশিদের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, অকারণ আতংক যেন না ছড়ায়।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় সতর্ক থাকতে হবে

📌 এরপর একসময় আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস বইতে শুরু করবে। বাতাস যখন প্রবল হয়ে উঠবে, তখন আপনার করণীয় হলো সপরিবারে ঘরের ভেতরে থাকা (যদি আপনার বাড়ি ঝড়ের আঘাত সহ্য করার পক্ষে যথেষ্ট মজবুত হয়, তবেই। নাহলে আপনাকে আগেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে যেতে হবে।)

📌 ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘরের দরজা জানলা ভালো করে আটকে রাখতে হবে।

📌 ঝড় চলাকালে ঘরের সমস্ত বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতিগুলোর প্লাগ খুলে রাখতে হবে। ঘরে কোনো রকম আগুন জ্বালানো চলবে না।

📌 ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ির সবচেয়ে মজবুত অংশে আপনাকে সপরিবারে আশ্রয় নিতে হবে। যদি বাড়ি ভেঙে পড়ার লক্ষণ দেখা দেয় এবং আপনি বাড়ি ছেড়ে অন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার সুযোগ না পান, তবে সঙ্গেসঙ্গে শক্তপোক্ত খাট, টেবিল বা এজাতীয় অন্য কিছুর নিচে আশ্রয় নিতে হবে। শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের সবার আগে রক্ষা করার চেষ্টা করা উচিত।

📌 প্রাণরক্ষার জরুরি কিটব্যাগটা সবসময় নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ে যদি বাড়ি ছেড়ে যাবার সম্ভবনা থাকে তবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও (ওপরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে) গুছিয়ে হাতের কাছে রাখা উচিত।

📌 রেডিও, টিভি ও সোসাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রাখতে হবে। প্রশাসন কখন কী অনুরোধ জানাচ্ছে তা সজাগতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে। প্রশাসন যদি আপনাদের বাড়ি ছেড়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার অনুরোধ জানায়, তবে আপনার করণীয় হলো সময় নষ্ট না করে তা পালন করা।

📌 বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-পড়শিদের সাথে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে। সকলেরই করণীয় হলো ঘূর্ণিঝড়ে একে অপরকে সাহায্য করা।

📌 ড্রাইভিং রত অবস্থায় যদি আপনি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে পড়ে যান, তবে তাড়াতাড়ি কাছের কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার চেষ্টা করতে হবে। সম্ভব না হলে, আপনার করণীয় হলো কোথাও গাড়ি দাঁড় করিয়ে (হ্যান্ডব্রেক-অন ও ইন-গিয়ার অবস্থায়) অপেক্ষা করা। তবে সমুদ্র, নদী, বড় গাছ বা বিদ্যুৎ-পরিবহন তারের কাছাকাছি গাড়ি দাঁড় করানো চলবে না। ঘূর্ণিঝড়ের সময় গাড়ির কাচ বন্ধ রাখতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় আইলা পরবর্তী বন্যা

ঘূর্ণিঝড়ের পরে করণীয় কর্তব্য

📌 এ ব্যাপারে প্রথমেই যেটা বলার তা হলো ঝড় থেমে গেছে মনে করে তাড়াহুড়ো করে বাইরে বেরোনো চলবে না। ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রকে এর ‘চোখ’ বলা হয়। যে এলাকার ওপর দিয়ে এটা যায় সেখানে বাতাস শান্ত থাকে। কিন্তু এটা সরে গেলেই আবার প্রবল বাতাস সেই এলাকার ওপর আছড়ে পড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ পুরোপুরি কেটে গেছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ভাবেই নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরে আসা চলবে না।

📌 ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, সেতু, বড় গাছ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। অকারণে চারদিকে ঘুরে বেড়ানো ঠিক নয়।

📌 ঘূর্ণিঝড়ের পর বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলো পুনরায় ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে সেগুলো শুকনো আছে কিনা। ভেজা অবস্থায় ব্যবহার করলে সেগুলোতে শর্ট সার্কিট হতে পারে। বাড়ির আশেপাশে ছেঁড়া বিদ্যুৎ পরিবাহী তার থাকলে খুব সাবধান থাকতে হবে। সেগুলো মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত খবর দিতে হবে।

📌 গ্যাস ব্যবহার করতে হলে নিশ্চিত করে নিতে হবে যে কোনো লিকেজ হয়নি।

📌 ঘূর্ণিঝড়ে আপনার এলাকায় যদি পানীয় জলের সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, তবে বৃষ্টির জল পানের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। পুকুর বা নদীর জল পানের জন্য ব্যবহার করতে হলে, আপনার করণীয় হলো প্রথমে ফুটিয়ে ও তারপর ফিটকিরি দিয়ে শোধন করে তা পানের উপযোগী করে নেওয়া।

📌 ঘূর্ণিঝড়ে পরিবারের কোনো সদস্য বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে আপনার করণীয় হলো দ্রুত প্রশাসনকে জানানো। এরকম কোনো পরিবার-বিচ্ছিন্ন মানুষ নজরে এলে তাকেও পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করা দরকার।

📌 বাচ্চাদের প্রতি সব সময় নজর রাখতে হবে। মহিলা ও প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। প্রতিবেশিদের সাহায্য করতে হবে।

📌 সামাজিক ও সরকারি ত্রাণকাজে সর্বপ্রকারে সহযোগিতা করতে হবে। সুযোগসন্ধানী ও অপরাধমূলক তৎপরতা রুখতে সকলে মিলে সজাগ থাকতে হবে।

ঘূর্ণিঝড়ে করণীয়: শেষের কথা

কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে অতিরিক্ত আতংক ঠিক নয়। তবে সজাগতা ও সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়ছে। [আরো পড়ুন: জ্বলন্ত সমস্যা বিশ্ব উষ্ণায়ন ও তার প্রতিকার ভাবনা] মনে রাখতে হবে, ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক সচেতনতাই হলো ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর মূল চাবিকাঠি। [ছবিগুলি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]